আমাদের আর মেরোনা বলছি, কতোবার মারতে চাও আমাদের ? সতেরশো সাতান্নতে পলাশী প্রান্তরে, আঠারশ সাতান্নতে সিপাহী বিদ্রোহের নামে সাঁওতাল বিদ্রোহের অজুহাতে, বায়ান্নয় ভাষা কেড়ে নেবার ছলে, উনসত্তর আর একাত্তরে স্বাধীকার আন্দোলণে । আমরাতো মরতে চাই না, আমরাতো মরি না, জেগে উঠি বার বার দীপ্ত তেজে বিদ্রোহের আগুনে । সভা সেমিনার করে আমাদের জন্য শোক কেন? আমাদের কে বুক উচিয়ে বাঁচতে দাও । উড়তে দাও নীলাকাশে সাদা পায়রার মত ।
জানি দেবে না । আমাদেরকে ঘুমপাড়ানিয়া গান শুনিয়ে শোকের স্তুতি গেয়ে, শোষনের হাতিয়ার শানিত করতে চাও ? কতোবার শানিত করবে এ হাতিয়ার ? কতবার চালাবে বুলেট , ট্রাকে পিষ্ট করবে ? ছলনায় মারবে গলা টিপে ? কতোবার ? তবুও আমরা মরব না, জেগে উঠবো প্রচন্ড হুংকারে । তোমাদের জন্য প্রলয়ের ডাক নিয়ে । যত দিন না সাদা পায়রা উড়বে উন্মুক্ত নীলাকাশে । জেগে উঠবো বার বার আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের মতো ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
একুশ যদি হয় মুক্তির একটা শপথ একটা প্রতীকের নাম, তাহলে তার প্রেরণা ছিল সতেরশ সাতান্ন, আঠারশ সাতান্ন, সাওতাল নীলকর বিদ্রোহ। ধারাবাহিক সংগ্রামের দৃপ্ত চেতনা ধারণ করে কবিতাটা হয়েছে প্রতিবাদের একটা ভিন্ন রূপ......... আমরা শান্তির পক্ষে তবে শোষণ মেনে নেবার মানসিকতা ধারণ করতে পারি না...................☼
রনীল
কবিতা কম বুঝি- হয়তো একারনে ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি... আমাদের আর মেরোনা বলছি/ কতবার মারতে চাও আমাদের- এখানে আমাদের আর মেরোনা বলছি- কথাটি কি মিনতি করে বলছেন নাকি প্রতিপক্ষের প্রতি হুংকার দিয়ে বলেছেন? টোন টা ধরতে পারলামনা। এছাড়া পুরো কবিতাটি অনেক ভালো লেগেছে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।